Logo
Ruhul @ruhul
1 yr. ago
কাজী নজরুল ইসলামের "বিদ্রোহী" কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত কবিতা। এটি ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি বিজলী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। কবিতাটি ১৩৯ পঙক্তির।

কবিতাটির মূল বিষয়বস্তু হলো বিদ্রোহ। কবি এই কবিতায় প্রথাগত রীতিনীতি, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক অবিচার, রাজনৈতিক শোষণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দেন। তিনি একজন নবযুগের বিদ্রোহী যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেন।

কবিতাটিতে কবি নিজেকে একজন বিদ্রোহী হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি যেকোনো ধরনের অবিচার, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে প্রস্তুত। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিদ্রোহই হলো মুক্তির একমাত্র পথ।

কবিতাটিতে কবি বিভিন্নভাবে বিদ্রোহের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, "আমি চির-উন্নত মম শির!", "আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!", "আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব!", "আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!"

"বিদ্রোহী" কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে একটি যুগান্তকারী কবিতা। এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিদ্রোহী চেতনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। কবিতাটি পাঠকদের মধ্যে বিদ্রোহী চেতনার বীজ বপন করে।

কবিতাটি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। এটি যুবকদের মধ্যে বিদ্রোহী চেতনার উন্মেষ ঘটায়। এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।

কবিতাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে আলোচনা করা হলো:

কবিতাটিতে কবি বিদ্রোহের একটি ব্যাপক ও সর্বজনীন রূপ তুলে ধরেছেন। তিনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বা সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহের কথা বলেননি, বরং তিনি সামগ্রিকভাবে মানুষের মুক্তির জন্য বিদ্রোহের ডাক দেন।
কবিতাটিতে কবি বিদ্রোহের একটি শক্তিশালী ও সাহসী রূপ তুলে ধরেছেন।

তিনি যেকোনো ধরনের অবিচার, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত।

কবিতাটিতে কবি বিদ্রোহের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তিনি বিদ্রোহকে শুধুমাত্র একটি নেতিবাচক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেননি, বরং তিনি এটিকে একটি ইতিবাচক প্রক্রিয়া হিসেবেও দেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিদ্রোহই হলো পরিবর্তনের একমাত্র পথ।

#কবিতা #বিদ্রোহী #কাজী_নজরুল_ইসলাম

Nothing found!

Sorry, but we could not find anything in our database for your search query {{search_query}}. Please try again by typing other keywords.